

মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুর জেলাতেও তিন জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) একজন এবং বুধবার (৩১ জুলাই) আরো দু’জনের শরীরে ডেঙ্গু চিহ্নিত হয়েছে। তাদেরকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
এরা হলেন- গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় পাড়ার হোসেন আলীর স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন (৩৫), চৌগাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক নাছিমা খাতুন (৫৫) ও কসবা গ্রামের বাসিন্দা ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সুফিয়া খাতুন (৪৮)। তাদেরকে হাসপাতালের একটি কেবিনে আলাদা করে মশারীর মধ্যে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সুফিয়া খাতুন জানান, তিনি গেল ২৬ জুলাই ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে এক রোগীর কাছে রাত কাটিয়েছিলেন। বাড়ি ফেরার পর তার জ্বর শুরু হয়। বুধবার সকালে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর তার ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা রিপোর্টে ডেঙ্গু পজিটিভ।
এদিকে প্রথম দিন ভর্তি হওয়া অম্বিয়া খাতুন ও আজ ভর্তি হওয়া নাছিমা খাতুন গাংনীতেই থাকেন। তাই গাংনীতে এডিস মশা রয়েছে বলে ধারনা করছেন সংশ্লিষ্ঠরা।
গাংনী হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: সজীব উদ্দীন স্বাধীন বলেন- ডেঙ্গু নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। আবার এটি এড়িয়ে যাওয়ারও সুযোগ নেই। পৌরসভা, উপজেলা প্রশাসন, রাজনীতিবীদ, সাংবাদিকসহ ও জনগণ সকলে মিলে যদি এ ব্যাপারে প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায় তবে ডেঙ্গু নির্মূল করা সম্ভব।
এদিকে ডেঙ্গু পরীক্ষা করার স্ট্রিপ নেই। তাই ডেঙ্গু নিয়ে আতংক শুরু হয়েছে। একটি বেসরকারী ডায়গনস্টিক সেন্টারে স্বল্প স্ট্রিপ থাকলেও তা ফুরিয়ে যাবে দু’য়েক দিনের মধ্যে।
এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা: মাহবুবুর রহমান বলেন- আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। দ্রæত পরীক্ষার স্ট্রিপ পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।