মিরপুরের রাকিবুল সহযোগিতা পেলে পঙ্গুত্ব থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
এনামুল হক রাসেল এনামুল হক রাসেল
সম্পাদক, দ্য বিডি রিপোর্ট ২৪ ডটকম


মেহেরপুর প্রতিনিধি: ৮ বছর আগে আপনি মিরপুর আলিয়া মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী ছিলেন। সে সময় নারিকেল পাড়ার জন্য গাছে উঠে নারিকেলের ডালা ধরে উঠতে গেলে গাছ থেকে পড়ে মারাত্মক আহত হন। ডাক্তার প্রাথমিক পর্যায়ে এক্স-রে করে দেখতে পান মাজা ও মেরুদন্ড’র হাড় ভেঙ্গে ৩ টুকরো হয়ে পাজরের ৪টা হাড় বাদে বাকি সবগুলো ভেঙ্গে যায়।
রাকিবুল ইসলাম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সারোটিয়া গ্রামের মোঃ দেলোয়ার হোসেন এর ছেলে।
বাবার তামাকের ব্যবসা ছিল ও জমি জায়গা বিক্রয় করে ১২ লাখ টাকা খরচ হয়ে যায়। বর্তমানে বাবার অবস্থাও ভাল না। আমার রোগ সারাতে গিয়ে আমার বাবার ব্যবসা সহ জমি জায়গা ঘুঁচে গেছে যে কারণে বাবার অবস্থাও এখন ভালনা। রাকিবুলের বাবা বর্তমানে পরের জমিতে কামলা খাটেন বলে জানান তিনি।
রাকিবুল ইসলাম পরিবারের তিন ভাই বোনের মধ্যে বড় ছেলে। রাকিবুল ইসলাম পঙ্গুত্বর কারণে কোন কাজ কর্ম করতে পারেননা। পরের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে দিনাতিপাত করছে। এক জায়গায় দু’তিন ঘন্টা বসে থাকলে শরীরে ঘা হয়ে যায়। ইতোমধ্যে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ঘা বাসা বেধেছে।
তার শরীরের ঘাড়ের নিচ থেকে মাজা পর্যন্ত ৪টা রড সহ মোট ৩৯ টা আনুসঙ্গিক জিনিস পত্র লাগানো হয়েছে।
স্পাইনাল বিশেষজ্ঞ সার্জন ডাক্তার কামরুজ্জামান রাকিবুল ইসলামকে অপারেশন করতে দ্রুত ইন্ডিয়া যাওয়ার পরামর্শ দেন। রাকিবুল ইসলাম ডাক্তারের পরামর্শ মতো পাসপোর্ট করে রেখেছেন। কিন্তু ভারতে চিকিৎসা করার মতো অর্থ রাকিবুল ইসলামের নেই। ডাক্তার বলেছে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা হলে সে আবারো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যেতে পারে।
চক্ষু লজ্জার কারণে রাকিবুল তার এলাকা ছেড়ে এ এলাকায় এসেছে যাতে কেউ চিনতে না পারে। বর্তমানে রাকিবুল ইসলাম গাংনী হাটের ভিতরে রাত কাটান। প্রথমে তিনি গাংনীতে ভাড়া বাসা নিয়ে থাকতেন কিছু দিন থাকার পর ভাড়া না দিতে পারায় নিজেই ভাড়া বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছেন।
গাংনী উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ পালের কাছে একটি হুইলচেয়ার দাবি করেন কিন্তু এখনো সেটা পাননি বলে আক্ষেপ করেন। জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বলেন তাকে একটি হুইল চেয়ার দেওয়ার কথা রয়েছে তা অচিরেই দেওয়া হবে।
মিরপুর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা এস এম জামাল আহমেদ এর সাথে জানতে চাইলে তিনি বলেন তার অসুস্থ্যতার কথা শুনে তাৎক্ষনিক ভাবে কিছু অর্থ সহায়তা দেওয়া হয় যাতে সে চা পানের ব্যবসা করতে পারে।
রাকিবুল ইসলাম এর পক্ষে চিকিৎসা খরচ বহন করা সম্ভব নয় তাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সকলে যদি নূন্যতম সহযোগিতাও করে তাহলে তিনি সুস্থ্য হয়ে আবার আগের মতো কাজ কর্ম করতে পারবেন।