ভেড়ামারায় শিল্পী ক্লিনিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যু: মালিককে গণধোলাই
এনামুল হক রাসেল এনামুল হক রাসেল
সম্পাদক, দ্য বিডি রিপোর্ট ২৪ ডটকম


ভেড়ামারা প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় শিল্পী ক্লিনিকে শনিবার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রিতু খাতুন (২৫) নামে এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে নিহতের আত্মীয় স্বজনরা ক্লিনিক মালিক আশরাফুল ও শিল্পী খাতুনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। নিহত রিতু খাতুন মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া গ্রামের আনিসুর রহমানের স্ত্রী। ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার একটি মহল পাঁয়তার করছে।
নিহতের চাচাতো ভাই রাব্বি ও স্থানীয়রা জানান, রিতু খাতুনের প্রসব বেদনা শুরু হলে পরিবারের লোকজন তাকে ভেড়ামারার শিল্পী ক্লিনিকে ভর্তি করে। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তড়িঘড়ি সিজার করতে হবে বলে জানাই ক্লিনিক মালিক আশরাফ এবং শিল্পী। ওই ক্লিনিকের চিকিৎসক ডাঃ টি,এ কামালীর তত্বাবধানে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে রিতু পুত্র সন্তান প্রসব করে। কিন্তু অপারেশনে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে তা বন্ধ করতে না পারায় রক্ত শূন্য হয়ে রিতু মারা যায়। এ সময় মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে ক্লিনিক মালিক ও চিকিৎসক কুষ্টিয়ায় রেফার্ড এর নাটক সাজিয়ে তড়িঘড়ি করে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করে রিতু খাতুনের মরদেহ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। শনিবার ভোরে আত্মীয় স্বজনরা রিতু’র মৃতদেহ নিয়ে শিল্পী ক্লিনিকের সামনে অবস্থান নেই। এ সময় ক্ষিপ্ত স্বজনরা ক্লিনিক মালিক আশরাফুল ও শিল্পী খাতুনকে গণধোলাই দেয়।
এ সংবাদ পেয়ে ভেড়ামারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্লিনিক মালিক আশরাফুল এবং শিল্পী খাতুনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে ক্লিনিকের নামধারী চিকিৎসক টি,এ কামালী পলাতক রয়েছে।
ভেড়ামারা থানার সেকেন্ড অফিসার রিফাজ উদ্দিন জানান, ক্লিনিক মালিককে থানায় আনা হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।