বুধবার বিকেলে ইবিতে সান্ধ্যকালীন কোর্সের পরীক্ষা ! উপস্থিত না থেকেও পরীক্ষা কমিটির এক শিক্ষককে অব্যাহতি
এনামুল হক রাসেল এনামুল হক রাসেল
সম্পাদক, দ্য বিডি রিপোর্ট ২৪ ডটকম


ষড়যন্ত্রকারী কে ?
নিজস্ব প্রতিবেদক: কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সান্ধ্যকালীন কোর্সের পরীক্ষা শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়। নিয়মিত ক্লাসের দিন পরীক্ষা নেয়ার কোন সুযোগ নেই। আবার পরীক্ষা নিতে হলে পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরীক্ষা নিতে হবে। এসবের কিছুই হয়নি।
বুধবার দুপুর ২ টা ৫৫ মিনিটে আইন বিভাগের একটি কক্ষে সান্ধ্যকালীন কোর্সের এক ছাত্রের পরীক্ষার খাতায় লিখা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এদিকে সান্ধ্যকালীন ওই কোর্সের শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমান টিটোকে কোন রকম কারণ ছাড়াই বিভাগের সকল কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এ যেন মগের মূলুক। যেই শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছিলো তার নাম এবং পরিচয় এখন পর্যন্ত ইবি প্রশাসন প্রকাশ করেনি। অপরদিকে সাংবাদকর্মীদের গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে গিয়ে এই ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। এ কিসের আলামত এই প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষকমহল।
এ ব্যাপারে ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, আমাকে ভিসি স্যার যেতে বললে আমি গিয়ে দেখি একজন সান্ধ্যকালীন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। কিন্তু সেখানে কোন শিক্ষক কিংবা অন্য কারোকে আমি দেখি নাই। পরীক্ষা কমিটির কোন সদস্যও উপস্থিত ছিলেন না। আমি বিষয়টি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর নুরুন্নাহারকে জানিয়ে চলে আসি।
এ ব্যাপারে বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর নুরুন্নাহার বলেন,সান্ধ্যকালীন কোর্সের ওই পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছিলো। ওই সময় কোন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন না। বুধবারে কোন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথাও নয়। প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান কেন শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমান টিটোকে বহিস্কার করা হয়েছে তা প্রশাসন জানে। সাধারণ শিক্ষকদের প্রশ্ন যদি নিয়মিত কর্মদিবসে সান্ধ্যকালীন কোর্সের কোন পরীক্ষা বিভাগের কোন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় তার দায়ভার কেন চেয়ারম্যাপনের ওপর পড়বে না। এটা গভীর ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।
এব্যাপারে সাজ্জাদুর রহমান টিটোর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, বুধবারে পরীক্ষা নেয়ার কোন বিধান নেই। পরীক্ষা নেওয়াও হয়নি। আমি সহ আরো ৩ জন পরীক্ষা কমিটিতে রয়েছি। আমরা কেউই জানি না আদ্যও পরীক্ষা নেয়া হচ্ছিলো কিনা? আমাকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ফাঁসানো হয়েছে।