বিনা পয়সায় চাকুরী দিয়ে নজির সৃষ্টি করলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম
এনামুল হক রাসেল এনামুল হক রাসেল
সম্পাদক, দ্য বিডি রিপোর্ট ২৪ ডটকম


নিজস্ব প্রতিবেদক: কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম এবার নিয়োগের ক্ষেত্রে নজির সৃষ্টি করেছেন। ৩টি পদের বিপরীতে ৩৫ টি আবেদন পড়ে। এদের মধ্যে লিখিত, মৌখিক এবং প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা শেষে বুধবার নিয়োগ পেয়েছেন ৩ প্রার্থী। মোঃ নাসমুদ্দোহা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স, শারমিন আক্তার ইভা কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে মাস্টার্স, সবুজ আলী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মস্টার্স। তিনজনই ইতিহাসে মাস্টার্স সম্পন্ন করে সাঁটলিপি, নিম্নমান সহকারী কাম- কম্পিউটার অপারেটর, ডুপ্লিকেটিং মেশিন অপারেটর কাম-দাপ্তরী এই তিন পদে নিয়োগ পেয়েছেন। বুধবার হাতে নিয়োগপত্র পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন চাকুরী প্রাপ্তরা।
সবুজ আলী বলেন, আমার বাবা নেই। আমি এতিম। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাস করে বিনা পয়সায় এখানে চাকুরী হবে ভাবতেই পারিনি। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলামের সততা সম্পর্কে বলেন, দুনিয়ায় এখনও ভাল মানুষ আছে।
শারমিন আক্তার ইভা বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম স্যার যোগ্যতার ভিত্তিতে আমাদের চাকুরী দিয়ে সততার নজির সৃষ্টি করলেন। যা আমি জীবনেও ভুলবো না।
নাসমুদ্দোহা বলেন, আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাশ করে চাকুরীর জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। মেধার মুল্যায়ন করায় আমি চেয়ারম্যান স্যারের নিকট চিরঋনি হয়ে থাকবো।
এই নিয়োগ সম্পর্কে জেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যন হাজী রবিউল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট আমি শপথ গ্রহণ করেছি। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনের পর এটি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তী। তিনি সারাদেশে যে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছেন আমরা তাঁর পক্ষে নিয়োগ প্রদান করছি মাত্র। জননেতা মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি কুষ্টিয়ার হাজার হাজার বেকারদের বিনা পয়সায় কর্মসংস্থান করেছেন। আমি তার একজন কর্মী হিসেবে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করছি মাত্র।
কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের নিয়োগ একটি দৃষ্টান্ত হবে এই কারনে যে, মেধা আর যোগ্যতার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কি না সেটিও যাচাই বাছাই করা হয়েছে। কারণ যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্বাস করে না তারা বাংলাদেশের নাগরিক হতে পারে না। এটিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে বলেছেন। জেলা পরিষদ প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশনাকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন।