পানি পড়ার নামে দৌলতপুরে বাঁধের বাজার এলাকায় রোগীদের সাথে প্রতারণা

এনামুল হক রাসেল এনামুল হক রাসেল

সম্পাদক, দ্য বিডি রিপোর্ট ২৪ ডটকম

প্রকাশিত: ১:২১ অপরাহ্ণ, জুন ১৫, ২০১৯
Spread the love

দৌলতপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের বাঁধের বাজার এলাকার শারিনা খানম সাধারন ও অসহায় মানুষের সাথে পানি পড়ার নামে প্রতারনা কর চলেছেন। তার পানি পড়াতে সকল রোগ ভাল হয় এমনকি মরন ব্যধি ক্যান্সারের মত রোগ।

বিষয়টি সরেজমিনে দেখতে গেলে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের রোগ নিয়ে রোগীরা সেখানে পানি পড়া নিতে বসে আছেন। বসে থাকা প্রায় ৩ শতর অধিক রোগীর কারো ক্যান্সার, ব্রেন টিউমার,ব্রেস্ট টিউমার,লিভার ক্যান্সারের মতো জোটিল রোগে ভুগছেন।

এ ব্যাপারে শারিনা খানম জানান, এই পানি আমি পড়িনা আমাকে স্বপ্নে পড়ে দেয় এবং এই পানি জমজমের পানির মত বছরের পর বছর পড়ে থাকলেও কোনো সমস্যা হয়না। শারিনা খানম আরো বলেন যে টিউবয়েল থেকে পানি উঠানো হয় সেটাও স্বপ্নে পাওয়া। আমার নিজের ইচ্ছা মত কোন কিছু করিনা, স্বপ্নে আমাকে যা করতে বলে তাই আমি করি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন আমার কোন প্রকার কোন অসুখ নাই আমি নিজে রোগী সেজে গেলে প্রথমে পানি পড়ার জন্য ১০ টাকা নেয় এবং যে পানি দেন সেই পানি নাকি জমজমের পানির মত। তখন আমি বলি আমার সমস্যার জন্য তো ডাক্তারের কাছে অনেক টাকা খরচ করেছি সমাধান হয়নি, তবে আপনি কি করে সমাধান করতে পারবেন!

তখন মিসেস খানম বলেন আমি পারবো, আমার পানি পড়ায় অনেক রোগী ভাল হয়েছে। সব ধরনের রোগ ভাল হয় কিন্তু যেমন রোগ তেমন মানত করতে হবে। কঠিন রোগ হলে কঠিন মানত করতে হবে আপনাকে। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন আপনার ডাক্তার কত টাকা চেয়েছে? আমি বলি ২ লক্ষ টাকা, তখন শারিনা খানম বলেন আমার এখানে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া লাগবে। তখ তাকে জানতে চাই টাকা কিভাবে নিবেন? তখন শারিনা খানম বলেন ঐ যে বললাম না যেমন রোগ তেমন মানত করতে হবে আমার কাছে।

এক প্রশ্নের জবাবে শারিনা জানান প্রতি শুক্রবার আমার এখানে হাজার হাজার রোগী আসে, তাদের বোতলের পানি পড়ে দিই এবং ১০ টাকা করে নিয়ে থাকি। এই থাকা উন্নয়নের কাজে লাগে। তবে কি উন্নয়নে তা তিনি বলেননি। তিনি আরো বলেন মানতের টাকা বিভিন্ন মসজিদ ও কবর স্থানে দান করে দিই। এই বিষয়ে প্রাগপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মুকুল জানান, আমি আজ সকালে বিষয়টি শুনেছি এবং সাথে সাথে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়েছি পানি পড়া দিতে নিষেধ করেছি।

পাঠকের মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।