নবীগঞ্জে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে খড়ের ঘরে আগুন দিয়েছে নিজেদের লোকজন !

এনামুল হক রাসেল এনামুল হক রাসেল

সম্পাদক, দ্য বিডি রিপোর্ট ২৪ ডটকম

প্রকাশিত: ৫:৪৫ অপরাহ্ণ, জুন ১৭, ২০১৯
Spread the love

নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জে আদালতে বিচারাধীন সত্ত্ব মামলায় হেরে যাওয়ার আশংকায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজেরাই খড়ের ঘরে আগুন ও চারা গাছ ভেঙ্গে দিয়েছে অপর পক্ষের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে গত নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের সোজাপুর গ্রামে।

সুত্রে জানাযায়,নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের সোজাপুর গ্রামের সুকুমার চন্দ্র পাল মৌজা সোজাপুর জে,এল নং সাবেক ১৬৪ হাল আর এস জে,এল নং ১৬৭ এ খতিয়ার নং ৩৭০ কবলা মতে,প্রকৃতপক্ষে ৩৭৩ আর এস খতিয়ান নং ৩৪৯ সাবেক দাগ নং ৩৪১,৩৪৮,পকৃতপক্ষে এস এ ৩৪৮ দাগ হাল আর এস ফাইনেল দাগ নং ৪২৪ মুলে ৬ শতক চারা রকম ভুমিসহ আরও অন্যান্য ভুমি নিজ নামে থাকাবস্থায় ৪ পুত্র সুভাষ পাল,সুবোধ পাল,সুষেন পাল,উমেশ পালকে রাখিয়া মৃত্যুবরন করেন। মৃত্যুর কিছুদিন পর সুচতুর উমেশ পাল তথ্য গোপন রাখিয়া উল্লেখিত ৬ শতক চারা রকম ভুমি নবীগঞ্জ উপজেলা ভুমি অফিসে নিজের একক নামে নামজারী করেন। এর কিছুদিন পর অপর ভাইদের না জানিয়ে একই গ্রামের এতিম উল্লার পুত্র জয়নাল মিয়া এবং মেয়ে আরজান বিবির নিকট গোপনে বিক্রি করে ফেলে।

বিষয়টি অপর ভাইয়ের জানাজানি হলে সুভাষ পাল ও সুবোধ পাল সুবিচারের আশায় বাদী হয়ে নবীগঞ্জ সহকারী জজ আদালত,হবিগঞ্জ এ অগ্রক্রয় মোকাদ্দমা মামলা ০৬/২০১৮ দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরই উভর পক্ষের মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছে। প্রতিপক্ষের জয়নাল মিয়া ও আরজান বিবির লোকজন গ্রামে প্রভাশালী হওয়ার কারনে তাদের ভয়ে অনেকটা জিম্মি হয়ে রয়েছেন সুবোধ পাল ও তাদের লোকজন। কিভাবে প্রতিপক্ষকে ফাসানো যায় সেই ফন্দি আটে জয়নাল মিয়ার লোকজন। এরই জের ধরে গত বৃহস্পতিবার রাতে জয়নাল মিয়া নিজেদের খড়ের ঘরে আগুন লাগিয়ে ও কিছু চারাগাছ ভেঙ্গে দেয়। পরদিন এ নিয়ে সুবোধ পাল ও সুভাষ পালের উপর খড়ের ঘরে আগুনের ঘটনার অপবাদ দিয়ে স্থানীয় পত্রিকায় একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে। এ নিয়ে নিরীহ লোকজনের মাঝে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যেকোন সময় আরো জয়নাল মিয়া ও তাদের লোকজন ফাসানোর জন্য আরো অন্যান্য কৌশল অবলম্বন করতে পারে বলে আশংকায় ভোগছেন সুবোধ পাল ও তার লোকজন।এ ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃস্টি কামনা করছেন ভোক্তভোগী লোকজন।

পাঠকের মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।