চুয়াডাঙ্গায় বিএডিসি শ্রমিকদের দু’পক্ষের সংঘর্ষ: ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উভয় পক্ষের আহত ১০

এনামুল হক রাসেল এনামুল হক রাসেল

সম্পাদক, দ্য বিডি রিপোর্ট ২৪ ডটকম

প্রকাশিত: ১২:১৮ অপরাহ্ণ, জুন ১৫, ২০১৯
Spread the love

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গায় বিএডিসির শ্রমিকদের দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উভয় পক্ষের আহত হয় ১০ জন। শনিবার সকালে শহরের দৌলতদিয়াড় এলাকায় বিএডিসির প্রধান ফটকের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত ৮ জনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় দুই জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে পাঠানো হয়েছে।

শ্রমিকরা জানান, বিএডিসিতে শ্রমিকদের কাজ করা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো শ্রমিক সর্দার আরিফ ওডাবলুর মধ্যে। এই বিরোধের জের ধরে শনিবার সকালে বিএডিসির প্রধান ফটকের সামনে ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহতদের মধ্যে শ্রমিক সর্দার আরিফ, আনারুল, তারিক, ফারুক, ডাবলু, রাকিব, কাদের ও ইয়াসিনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আওলিয়ার রহমান জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ৮ জনের শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম হয়েছে। এদের মধ্যে আরিফ ও ডাবলুর মাথা, ঘাড় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত বেশি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা বিএডিসির শ্রমিক সর্দার আহত আরিফ জানায়, কাজে ফাঁকি দেয়ার কারণে কয়েকদিন আগে ডাবলুকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এ কারণে সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলো। এছাড়া কাজ না করে সাধারণ শ্রমিকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসবের বিরুদ্ধে অবস্থায় নেয়ার কারণে ডাবলু বহিরাগতদের নিয়ে হামলা চালায়।তবে ডাবলু এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ শ্রমিকদের জিম্মি করে রেখেছিলো শ্রমিক নামধারী আরিফ। এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ার কারণে আমাকে চাকরি থেকে বিতাড়িত করে সে। হামলার বিষয়ে সে আরিফ ও তার পক্ষের লোকজনকে দায়ী করেন।

চুয়াডাঙ্গা বিএডিসির উপ-পরিচালক শামিমুর রহমান জানান, শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনার পর নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন জানান, সংঘর্ষের পর বিএডিসিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করাহয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

পাঠকের মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।