গাংনীতে মিথ্যা বিয়ের প্রলোভনে প্রবাসীর স্ত্রীর ২২ দিন দেহভোগ: অত:পর হত্যার চেষ্টা
এনামুল হক রাসেল এনামুল হক রাসেল
সম্পাদক, দ্য বিডি রিপোর্ট ২৪ ডটকম


গাংনী সংবাদদাতা: মেহেরপুরের গাংনীতে মিথ্যা বিয়ের প্রলোভনে প্রবাসীর স্ত্রীকে ঢাকায় নিয়ে ২২ দিন দেহভোগ। মামলা থেকে বাঁচতে উপজেলার ষোলটাকা গ্রামে গৃহবধূ সাবিনা খাতুনকে জোরপূর্বক মুখে বিষ দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার সকালে সাবিনা খাতুনকে স্বামী বাপ্পী জোয়াদ্দার ও শ্বশুর ইনতাদুল জোয়াদ্দার ও চাচা শ্বশুর মহিদুল জোয়াদ্দার বাড়ীর মধ্যে জোর করে গৃহবধূ কে হারপিক মুখের মধ্যে ঢেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
খবর পেয়ে গৃহবধূর বাবা সামছুল হক মেয়ে কে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা হাসপাতালে নিলে কর্মরত ডাক্তার সাবিনা খাতুনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে।বর্তমানে সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
সাবিনার বাবা শামছুল হক বলেন,ইনতাদুল জোয়াদ্দার ও বাপ্পী আমার মেয়েকে মেনে নেওয়ার স্বার্থে শনিবার সকালে বাড়ীতে চলে আসার জন্য ডাকে বাড়ীতে গেলে আমার মেয়ের মুখের মধ্যে জোর করে হারপিক ঢেলে দিয়ে হত্যার করার চেষ্টা করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার চরগোয়াল গ্রামের প্রবাসির স্ত্রী সাবিনা কে গত ০১-০৯-১৯ তারিখ রাতে উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের ইনতাদুলের ছেলে ব্প্পাী মিথ্যা বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে পালিয়ে যায়।গৃহবধূকে ঢাকায় নিয়ে একটি ঘরে ২২দিন ধরে ধর্ষণ করে।একপর্যায়ে মেয়ে সাবিনা বাবার নির্দেশে গাংনী থানায় মামলা করতে গেলে থানা অজ্ঞাত কারনে মামলা না নিলে কোর্টে নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করে। পরে বাবা সামছুল হক আরও একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলা থেকে বাচতে বাপ্পী জোয়াদ্দার সাবিনাকে বিয়ে করে। ব্প্পাীর বাবা ইনতাদুল হক বিয়ে মেনে নেওয়ার স্বার্থে বউ-ছেলে কে বাড়িতে চলে আসার জন্য বলে।
পরে ছেলেকে মেনে নিলেও বৌ কে মেনে নেইনি।পরে সাবিনা খাতুন ষোলটাকা গ্রামের মেম্বর ময়নাল হোসেন কে বিষয়টি জানালে মেম্বর ময়নাল হক একই গ্রামের ইনতাদুলকে বৌ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্ত ইনতাদুল জোয়াদ্দার বৌ কে বাড়ীতে ঢুকতে না দিয়ে বের করে দেয়।পরে গৃহবধূ মেহেরপুর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২০১ সিআর মামলা ৩৩৬/১৯ । মামলা থেকে বাচার জন্য সাবিনাকে শ্বশুর ও স্বামী ব্প্পাী জোয়াদ্দার বাড়িতে আসতে বলে। বাড়ীতে আসা মাত্র গৃহবধুকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাড়ীর লোকজন ইনতাদুল, মহিদুল ও বাপ্পী মিলে হারপিক দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।গ্রামের মেম্বর ময়নাল হক জানান,আমি ঘটনাটি মিমাংসার জন্য মেয়েটিকে আমার বাড়ীতে রেখে মধ্য¯’তার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিš‘ ইনতাদুল আমার কথা রাখেনি।
এনিয়ে ষোলটাকা গ্রামের ইন্তাদুল মোবাইল ফোনে জানান, আমরা সাবিনাকে হত্যার চেষ্টা করিনি। সাবিনা আমাদের ফাসানোর জন্য নিজেই আত্মহত্যা করতে হারপিক খেয়েছে।বর্তমানে মামলার আসামী ইন্তাজুল, বাপ্পী ও মহিদুল পলাতক রয়েছে।