খোকসায় অসহায় বৃদ্ধার জমি ফেরত দিতে না দেওয়ার পায়তারা করছে সান্টু মেম্বার

এনামুল হক রাসেল এনামুল হক রাসেল

সম্পাদক, দ্য বিডি রিপোর্ট ২৪ ডটকম

প্রকাশিত: ৬:০৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯
Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি: অসহায় শ্রবণ প্রতিবন্ধী বৃদ্ধার জমি কৌশলে হাতিয়ে নেয় কুষ্টিয়া খোকসা উপজেলার গোপগ্রাম ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আঃ সামাদ সল্টু মেম্বার। এই সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড?লে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন স্থানিয় পত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত পিপিএম (বার) এর নজরে আসে।

তিনি সঙ্গে সঙ্গে খোকসা থানা অফিসার ইনচার্জ কে সল্টু মেম্বারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। তখন আঃ সামাদ সল্টু মেম্বার খোকসা থানায় মুচলেকা দেয় সে ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে বৃদ্ধাকে তার জমি ফেরত দেবেন। কিন্তু এর মধ্যে আঃ সামাদ সল্টু মেম্বার ও ভাড়াটিয়া আলতাফ হোসেন পালিয়ে যায়। শ্রবণ প্রতিবন্ধী হালিমা খাতুন (৭০) খোকসা উপজেলার গোপগ্রাম এলাকার মৃত আব্দুল মজিদ বিশ্বাসের স্ত্রী। এদিকে খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএম মেহেদী মাসুদ এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আঃ সামাদ সল্টু মেম্বার ১৫দিনের মধ্যে বৃদ্ধা শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিধবা হালিমা খাতুন এর জমি ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের জামিনদার হয়ে নিয়ে গেছে। এখনও ১৫ দিন পার হয়নি।

এদিকে খোকসা গোপগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাকে সকালে বললেন আপনার পরিষদের একজন সদস্য আঃ সামাদ সল্টু মেম্বার। এই জন্য আমি থানায় গিয়ে সল্টু মেম্বার কে ছাড়িয়ে নিয়ে আসি। সে গত বৃহস্পতিবার বৃদ্ধার জমি ফেরত দিতে চেয়েছিল। এখন সল্টু মেম্বার ও ভাড?াটিয়া আলতাফ হোসেন মোবাইল বন্ধ করে রেখেছে। তাদের এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। আলতাফ হোসেনের ছেলে খোকসার এক নেতা আব্দুল­াহ আল মামুন এর সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদিকে বৃদ্ধা শ্রবণ প্রতিবন্ধী হালিমা খাতুন বলেন, এই জমি ফেরত নিতে হলে আমাকে দুই লক্ষ টাকা দিতে হবে। আমি টাকা কোথা থেকে দেব। তাহলে কি আমি জমি ফেরত পাবনা?উলে­খ্য, গত ২৯ আগস্ট তারিখে স্থানীয় সময়ের কাগজ ও ৩০ আগস্ট বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয় ‘জমি ফেরত পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে অসহায় বৃদ্ধা, বিধবা ভাতার কার্ড দেওয়ার নাম করে বৃদ্ধার জমি লিখে নিলেন স্থানীয় সল্টু মেম্বার ও আলতাফ’। এই সংবাদ কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত পিপিএম (বার) এর নজরে আসে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে খোকসা অফিসার ইনচার্জ কে নির্দেশ দেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার। সেই নির্দেশ পেয়ে গোপগ্রাম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য আঃ সামাদ সাল্টু মেম্বার ও বৃদ্ধার দোকানের ভাড?াটিয়া আলতাফ হোসেন কে থানায় নিয়ে আসে। থানায় বসে সল্টু মেম্বার ও আলতাফ হোসেন তাদের ৩শ টাকার স্ট্যাম্পে মুচলেকা দেয় তারা বৃদ্ধার জমি ফেরত দিয়ে দেবে। আগামী বৃহস্পতিবার সেই জমি বৃদ্ধাকে রেজিঃ করিয়ে দেবে বলে জানা গেছে। আব্দুস সামাদ সান্টুু মেম্বার কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার গোপগ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে ও দোকানের ভাড়াটিয়া আলতাব হোসেন জোতপাড়া সন্তষপুর এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। বৃদ্ধা শ্রবণ প্রতিবন্ধী হালিমা খাতুন জানান, গত ১০ জুলাই আমাকে কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে খোকসা উপজেলা অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সল্টু মেম্বার, আলতাব, আমার বড় মেয়ে খালেদা ও জামাই সরিত উল­াহ এই চার জন মিলে আমাকে বলে বিধবা ভাতা কার্ড পেতে হলে টিপ সহি দিতে হবে। এই ভাবে মিথ্যা কথা বলে রেজিষ্ট্রার সাহেবের নিকট নিয়ে গিয়ে আমার কানে না শোনার সুযোগে জাল জালিয়াতি দলিল তৈরি করে তাতে টিপ সহি নিয়ে ভূয়া ভাবে রেজিষ্ট্রি করে নেয়। সেই জমিতে একটি দোকান ঘর ছিল যা দ্বারা আমি সংসারের অন্য সদস্যদের নিয়ে সংসার চালিয়ে আসছিলাম। তারা আমার দোকান ঘর দখল করে নিয়েছে। বর্তমানে আমি আমার পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছি। আমাকে ভুল বুঝিয়ে ২২শে আগষ্ট ২০১৯ খোকসা উপজেলা অফিসে নিয়ে গিয়ে বয়স্ক ভাতার কার্ডের টাকা তোলার কথা বলে জমির দলিলে সই করিয়ে নেয়। এদিকে গতকাল দুপুরে ওই বৃদ্ধা মহিলার জমি রেজিস্ট্রি করার ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়ার জন্য ওই বৃদ্ধার সাথে দেখা করেন। এ সময় ওই বৃদ্ধা জানান, জমি রেজিস্ট্রির না করার ব্যাপারে সান্টু মেম্বার বিভিন্ন জায়গা বক্তব্য প্রদান করেন। জেলা মানবাধিকার কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মেজবাহুর রহমান লিগার ও কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক নূরুন্নবী বাবু, খোকসা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল আক্তার, সাংবাদিক শাহিনসহ স্থানীয় সাংবাদিকদের একটি টিম খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী মাসুদের সাথে ওই বৃদ্ধার জমি দ্রুত ফেরৎ দেওয়ার বিষয়ে মতবিনিময় করেন। এ সময় ওসি জানান, ওই বৃদ্ধা যাতে দ্রুত তার জমি ফেরৎ পায় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে জমি রেজিস্ট্রি করা হবে।

বৃহস্পতিবার সেই জমি বৃদ্ধাকে রেজিঃ করিয়ে দেবে বলে জানা গেছে। আব্দুস সামাদ সান্টুু মেম্বার কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার গোপগ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে ও দোকানের ভাড়াটিয়া আলতাব হোসেন জোতপাড়া সন্তষপুর এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। বৃদ্ধা শ্রবণ প্রতিবন্ধী হালিমা খাতুন জানান, গত ১০ জুলাই আমাকে কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে খোকসা উপজেলা অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সল্টু মেম্বার, আলতাব, আমার বড় মেয়ে খালেদা ও জামাই সরিত উল­াহ এই চার জন মিলে আমাকে বলে বিধবা ভাতা কার্ড পেতে হলে টিপ সহি দিতে হবে। এই ভাবে মিথ্যা কথা বলে রেজিষ্ট্রার সাহেবের নিকট নিয়ে গিয়ে আমার কানে না শোনার সুযোগে জাল জালিয়াতি দলিল তৈরি করে তাতে টিপ সহি নিয়ে ভূয়া ভাবে রেজিষ্ট্রি করে নেয়। সেই জমিতে একটি দোকান ঘর ছিল যা দ্বারা আমি সংসারের অন্য সদস্যদের নিয়ে সংসার চালিয়ে আসছিলাম। তারা আমার দোকান ঘর দখল করে নিয়েছে। বর্তমানে আমি আমার পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছি। আমাকে ভুল বুঝিয়ে ২২শে আগষ্ট ২০১৯ খোকসা উপজেলা অফিসে নিয়ে গিয়ে বয়স্ক ভাতার কার্ডের টাকা তোলার কথা বলে জমির দলিলে সই করিয়ে নেয়। এদিকে গতকাল দুপুরে ওই বৃদ্ধা মহিলার জমি রেজিস্ট্রি করার ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়ার জন্য ওই বৃদ্ধার সাথে দেখা করেন। এ সময় ওই বৃদ্ধা জানান, জমি রেজিস্ট্রির না করার ব্যাপারে সান্টু মেম্বার বিভিন্ন জায়গা বক্তব্য প্রদান করেন। জেলা মানবাধিকার কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মেজবাহুর রহমান লিগার ও কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক নূরুন্নবী বাবু, খোকসা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল আক্তার, সাংবাদিক শাহিনসহ স্থানীয় সাংবাদিকদের একটি টিম খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী মাসুদের সাথে ওই বৃদ্ধার জমি দ্রুত ফেরৎ দেওয়ার বিষয়ে মতবিনিময় করেন। এ সময় ওসি জানান, ওই বৃদ্ধা যাতে দ্রুত তার জমি ফেরৎ পায় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে জমি রেজিস্ট্রি করা হবে।

পাঠকের মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।