ক্রীড়াবিদ থেকে জনপ্রতিনিধি কুষ্টিয়ার মিরপুরের মর্জিনা খাতুনের গল্প
এনামুল হক রাসেল এনামুল হক রাসেল
সম্পাদক, দ্য বিডি রিপোর্ট ২৪ ডটকম


দ্যা বিডি রিপোর্ট ডেস্ক: নারী জাগরনের অগ্রদুত বলা হয় বেগম রোকেয়া শাখাওয়াৎকে। অন্যদিকে চারদেয়ালে বন্দি থাকা নারীদের ক্রীড়াঙ্গনের সাথে সম্পৃক্ত ও সমৃদ্ধ করায় মর্জিনা খাতুন (৪৪) কে বলা হয় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা ক্রীড়াঙ্গনের নারী জাগরনের অগ্রদুত।
মর্জিনা খাতুন এখন শুধু একজন ব্যাক্তিই নন একটি প্রতিষ্ঠানের নাম।
মর্জিনা খাতুন একাধারে ক্রীড়াবিদ,ক্রীড়া সংগঠক,কোচ,রাজনৈতীক নেত্রী,সফল গৃহিনী ও একজন সফল মা। কোথায় নেই তার পদচারনা? একই অঙ্গে এতগুলো রুপ থাকা মানুষটির পালে সর্বশেষ সংযুক্ত হয়েছে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হবার মধ্যদিয়ে জনপ্রতিনিধির তকমা।
২০০৬ সালে ইসলামিক ষ্ট্যাডিস বিষয়ের উপর মাষ্টার্স ডিগ্রী অর্জন করা মর্জিনা খাতুন ১৭ জুলাই ১৯৭৬ সালে উপজেলার আমলা ইউনিয়নের শাহপুর নামক গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। পিতার নাম শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মধু মণ্ডল।
মর্জিনা খাতুন সাঁতারু হবার লক্ষ নিয়ে ১৯৮৪ সালে ৩য়/৪র্থ শ্রেণীতে পড়ার সময় বড় ভাই আমিরুল ইসলামের অনুপ্রেরনায় শিশু একাডেমী প্রতিযোগীতায় নাম লেখান। ফ্রি ষ্টাইল ও ব্রেষ্ট ষ্ট্রোক সাঁতারে কৃতিত্বও দেখান। পরে তিনি সাঁতার ছেড়ে পুরো দস্তুর এ্যাথলেট হিসাবে আবির্ভুত হন। তাছাড়াও তিনি হ্যাণ্ডবল, ভলিবল ও ফুটবলও খেলেছেন।
মর্জিনা খাতুন ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ১৩ বছর খেলোয়াড়ী জীবনে জাতীয় পর্যায় থেকে ৩৭টি গোল্ড জয়ের অনন্য কৃতিত্ব দেখান। চলতি বছরের ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত ৫ম মিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হাঁস প্রতিকে ৪৬ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মর্জিনা খাতুন (৪৪)।
যদিও মর্জিনা খাতুন ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত ৩য় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ( ১ম মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনে) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করে ২৭ হাজার ভোট পেয়ে ২য় অবস্থানে থেকে পরাজিত হয়েছিলেন। সেবার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন রোজী খাঁন।