নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়া শহরসহ সদর উপজেলায় পাড়ায় পাড়ায় সহিংসতা, মোড়ে মোড়ে মাদকের বিকিকিনি, চাঁদাবাজি, সামাজিক ব্যধি চরম পর্যায়ে ছিল। কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়মীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জননেতা মাহবুবউল আলম হানিফ শান্তির কুষ্টিয়া বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়ে কুষ্টিয়াকে ঢেলে সাজান। এ সময় কুষ্টিয়া মডেল থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করেন নাসির উদ্দিন।

জননেতা মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি’র নির্দেশে মাদক, সন্ত্রাস, অস্ত্র উদ্ধার, চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজী নির্মুলের অভিযানে মাঠে নামেন। কুষ্টিয়া মডেল থানার ২০১৭ সালের ৭ মে হতে ২০১৯ সালের ২৩ আগস্ট পর্যন্ত ওসি নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে সাফল্যের বিবরণ হলো, ২০১৯ সালের ২৩ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৭৫০ কেজি গাঁজা, ২৮০৩ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট, ৯৩ বোতল ফেন্সিডিল, ৭ গ্রাম হেরোইন, ৪টি পিস্তল, ৪টি শর্টার গান, ১টি পি পাইপগানসহ মোট ৯টি অস্ত্র, ৬টি ম্যাগজিন, ১৯ রাউন্ড গুলি, ৯টি ককটেল উদ্ধার করেন। ২০১৮ সালে মোট ৯ কেজি ৮৭৬ গ্রাম গাজা, ৬৯৯৪ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট, ৫৭০ বোতল ফেন্সিডিল, ৩৬.৭৫ গ্রাম হেরোইন, ২৫ লিটার ও ২ বোতল মদ, ১০টি শ্যুটার গান, ৩টি পিস্তল, পাইপ গান মোট ২০টি অস্ত্র, ৪টি ম্যাগজিন, ৪৪ রাউন্ড গুলি, ১৩৬টি ককটেল বোমা, ৬৮টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করেন। ২০১৭ সালের মে মাস পর্যন্ত মোট ১০ কেজি গাঁজা, ২২১৩ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট, ৮৪ বোতল ফেন্সিডিল, ৫৮ গ্রাম হেরোইন, ৪৩ লিটার বাংলা মদ, ৮টি পাইপগান, ৭টি শর্টার গান, ১টি পিস্তল মোট ১৬টি অস্ত্র, ১৯ রাউন্ড গুলি ও ১১টি বোমা উদ্ধার করেন।

২০১৭ এর মে থেকে ২০১৯ সালের ২৩ আগস্ট পর্যন্ত ওসি নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে ২০ কেজি ৬২৬ গ্রাম গাঁজা, ১২ হাজার ১০ পিচ ইয়াবা, ৭৪৭ বোতল ফেন্সিডিল, ১১১.৬৫ গ্রাম হেরোইন, ৬৮ লিটার মদ, ৪৫ টি অস্ত্র, ১০টি ম্যাগজিন, ৮২ রাউন্ড গুলি, ১৫৬টি ককটেল, ৬৮ টি পেট্রোল বোমা মোট ২২৪টি বোমা উদ্ধার করে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেন।

বর্তমান সৎ ও সুযোগ্য পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত পিপিএম (বার) এর নেতৃত্বে মডেল থানার ওসি নাসির উদ্দিন আভিযানিক টিম নিয়ে একাধারে মাদক, সন্ত্রাস,অস্ত্র, বোমা, গুলি উদ্ধার করে অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছেন। ঈদ এবং পূজাসহ সকল ধর্মীয় ও সমাজিক অনুষ্ঠানে এই শহরে একটি পকেট মারের কিংবা কোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। নাইট কোচের যাত্রীরা মধ্যরাতে নিজ নিজ বাড়িতে নির্বিঘেœ পৌঁছে যাচ্ছে। অথচ ক’বছর আগেও এটি ভাবাও যায়নি। ওসি নাসির উদ্দিনের সময় মাদক মামলায় ফাঁসি ও যাবজ্জীবন হচ্ছে। চিহ্নিত মাদক স¤্রাটরা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। অন্যরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। বেশ কয়েকজন ডাকাত এবং রোড ডাকাত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর সড়কে এবং লোকালয়ে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। আর এসবই সম্ভব হয়েছে পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত পিপিএম (বার) এর সঠিক নির্দেশনা আর ওসি নাসির উদ্দিনের মাঠ পর্যায়ে কঠিন এবং কঠোর অভিযানের পর অভিযান পরিচালনা করা। এই দুইয়ের সমন্বয়ে শান্তির কুষ্টিয়া গড়ে উঠেছে। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত পিপিএম (বার) ওসি নাসির উদ্দিনকে একাধিকবার পুরস্কৃত করেছেন।

পুলিশের মনোবল ভেঙে দিতে বিগত সময়ে নিখোঁজ এক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার সেকেন্ড ইন কমান্ড এর ছোট ভাই সোস্যাল মিডিয়ায় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি এবং অস্ত্র ব্যবসা করতে না পারায় সে পুলিশের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। শুধু পুলিশ নয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যার বেসাতি ছড়াচ্ছে। মিরপুর এবং দৌলতপুরে ফেন্সিডিলসহ পুলিশের হাতে আাটক হওয়া সেই কুখ্যাত ব্যক্তি মাদক কারবারি ও মাদক সেবনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী উঠেছে সচেতন মহলের পক্ষ থেকে।

• আজ মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
• দৌলতপুরে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও শহীদ শেখ রাসেল স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে শীতবস্ত্র বিতরণ
• কুষ্টিয়ায় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান শিক্ষককে হত্যার হুমকি
• কুষ্টিয়ায় গভীর নলকূপের তিনটি ট্রান্সমিটার চুরি
• কুষ্টিয়ায় ভেজাল কসমেটিকস তৈরীর কারখানা আবিষ্কার