কুষ্টিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে অগ্নিকান্ডে আসবাবপত্রসহ যাবতীয় ভস্মিভুত
এনামুল হক রাসেল এনামুল হক রাসেল
সম্পাদক, দ্য বিডি রিপোর্ট ২৪ ডটকম


নিজস্ব প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে লাগা আগুনে বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে সকল কক্ষের আসবাবপত্রসহ যাবতীয় কিছু ভস্মিভুত হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং বি-ব্লক ৩৮২ নং বাড়িতে সংঘটিত অগ্নিকান্ডের সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থুলে পৌছায় এবং আক্রান্ত বাড়ির তালাবদ্ধ সবকয়টি কক্ষের দড়জা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে আগুন নিয়ন্ত্রন করেন বলে নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিস সিনিয়র ষ্টেশন অফিসার মো: আলী সাজ্জাদ।
ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের দাবি করেন, প্রায় দেড়হাজার বর্গফুটের বাড়িতে চারটি কক্ষে থাকা ৩টি এয়ারকুলার, দুইটি ফ্রিজ, আসবাবপত্রসহ ওয়ারড্রবে থাকা নগদ তিন লক্ষ টাকা, স্ত্রী ম্যাটস কর্মচারী শামীমা আক্তার, বড় ছেলে খোকসা উপজেলা উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শৈবাল আহমেদ এবং রাজবাড়ি জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক আল-মাসুম আহমেদ গণের সকল সকল শিক্ষা সনদসহ চাকুরী প্রাসঙ্গিক সকল অফিসিয়াল কাগজপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং আমার নিজের মুক্তিযোদ্ধা সনদসহ জমি জায়গার প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র সবই ভস্মিভুত হয়েছে। প্রকৃত অর্থে বর্তমান অবস্থায় অগ্নিকান্ডে ভস্মিভুত বসবাস অযোগ্য বাড়িতে একরকম খোলা আকাশের নীচে জীবন যাপন করতে হচ্ছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্ত এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ফ্রেক্সিলোড দোকানদার মানিক জানায়, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ দেখি ৩৮২নং বাড়ির সবকয়টি কক্ষ থেকে কালো ধোঁয়াসহ প্লাস্টিক পোড়া বিকট গন্ধ বেরুচ্ছে। ওই বাড়িতে আগুন লেগেছে দেখে ফায়ার সার্ভিসকে কল করি। আনুমানিক পৌনে ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে আগুন নিয়ন্ত্রন করে।
কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের সিনিয়র ষ্টেশন অফিসার মো: আলী সাজ্জাদ জানান, হাউজিং বি ব্লকের ওই বাড়িতে বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে ল্গাা আগুনে প্রায় ৯০ভাগই ভস্মিভুত হয়েছে। বাড়ির তালাবদ্ধ সবগুলি কক্ষের দড়জা ভেঙ্গে ভিতরে দেখা যায় যা ছিলো তার সবই পুড়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে বাড়িটিতে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদিতে সংযোগ দেয়া লাইনগুলি অনিরাপদ বা যথাযথ না থাকায় অতিরিক্ত চাপ থাকায় তারগুলিতে একযোগে আগুন লেগেছিলো। বাড়িটি পুনরায় মেরামত না হওয়া পর্যন্ত বসবাসেরও অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তবে কি পরিমান আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নিরূপন করা যায়নি।