কুষ্টিয়ায় এক গৃহবধূকে ধর্ষনের অভিযোগ

এনামুল হক রাসেল এনামুল হক রাসেল

সম্পাদক, দ্য বিডি রিপোর্ট ২৪ ডটকম

প্রকাশিত: ৪:৪২ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০১৯
Spread the love

দ্য বিডি রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ১১ টা। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সীতে চিকিৎসা নিতে আসা এক গৃহবধূ। তার অভিযোগ তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। গৃহবধূ হাসপাতালের ভর্তি টিকিটে নিজের নাম লেখান এবং স্বামীর নাম লেখান সুজন রহমান টুটুল। ঠিকানা মজমপুর। ইমার্জেন্সীতে কর্মরত চিকিৎসক রুগীর যাচাই বাছাই করে চিকিৎসাপত্রে রোগের অংশে লেখেন সেক্সুয়াল অ্যাসাল্ট।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এ সময় ঐ গৃহবধূর স্বামী সুজন রহমান টুটুল বলেন, চল বাড়ি চল। আমি ওখানে চাকুরী করি ওর বিরুদ্ধে কি করবো। এরই মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাক বিতন্ডা হয়। ঐ গৃহবধূ থানায় অভিযোগ করলে, পুলিশ ধর্ষনের স্থল শহরের থানাপাড়াস্থ ২২ নং ফয়সাল টাওয়ারের ৮ নম্বর ফ্লোরে অভিযান চালায়।

অভিযানকালে জানা যায়, ঘটনার দিনেই প্রকৌশলী আজমের মালিকানাধীন ঐ ফ্ল্যাটটি ১০ হাজার টাকায় ভাড়া নেয় এ আর মটরস এর মালিক আসাদুল। পুলিশের জব্দকৃত সিসিটিভির ফুটেজে সাংবাদিকরা দেখেন, গত রবিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে গৃহবধূকে ৩ জনসহ ঐ ফ্ল্যাটে উঠতে দেখা যায়। সাড়ে ১১ টার দিকে আসাদুল খাবারের প্যাকেসহ উঠে। এর আগে মিস্ত্রিকে তোষক, ফ্যান নিয়ে উঠতে দেখা যায়। গৃহবধূর অভিযোগ সে প্রতিদিনের ন্যায় হাঁটতে বের হলে তাকে র‌্যাব গলির মীর মশাররফ হোসেন হাইস্কুলের সামনে থেকে রাত ৮টার দিকে মাইক্রোতে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যায় হয় এবং তার শ্লীলতাহানী করা হয়।

আসাদুলের ভাড়াকৃত ফয়সাল টাওয়ারের ৮ তলার কক্ষের ভেতর গতরাতের খাবার খালি প্যাকেট ও ঐ গৃহবধূর মাথার ক্লিপ জব্দ করে পুলিশ। এসব আলামতের ভিত্তিতে পুলিশের আভিযানিক টিম শহরের উপজেলা মোড়ে এ আর মটরর্স থেকে আসাদুলকে আটক করে মডেল থানায় নিয়ে যায়।

এরপর ওই গৃহবধূর সাথে রফাদফায় ব্যস্ত হয়ে যায় একটি মহল। রফাদফা হয়। দিন শেষে থানায় হাজির হয় ধর্ষকের সাথে গৃহবধূর বিয়ের কাবিন। যাতে গত নভেম্বর মাসে ধর্ষকের সাথে কাবিন দেখানো হয়েছে। আবার ওই গৃহবধূর সাথে তার স্বামীর তালাক দেখানো হয়েছে ওই একই মাসে। যা আইন পরিপন্থী। কোন মহিলার তালাক হলে ইসলামী শরিয়া আইন অনুযায়ী তিন মাস পার না হলে নতুন বিয়ে করা যায় না। সূত্র বলছে ওই কাবিন রেজিষ্ট্রি কাবিন নয়। ভুয়া কাবিন হিসেবে থানা থেকে মুক্তি পেতে ওই কাবিন বানানো হয় পূর্বের সময় দেখিয়ে। সূত্র দাবী করেছে চুক্তিতে মুক্তি পেয়েছে ধর্ষক আসাদুল। আর এর পেছনে একটি শক্তিশালী চক্র কাজ করেছে এবং মোটা অংকের টাকা লেনদেন হয়েছে। আর গত নভেম্বর মাসে যদি ধর্ষকের সাথে বিয়ে হয়ে থাকে তাহলে গতকালকের তারিখে হাসাপাতাল ভর্তি পত্রে স্বামীর নাম আসাদুল না লেখে সুজন রহমান টুটুল লেখা হলো কেন?

আর ধর্ষক আসাদুল যদি ওই মহিলার স্বামী হবে তাহলে স্বামী কর্তৃক কি ভাবে ধর্ষিত হলেন এবং চিকিৎসা পত্রে কেন পুলিশ কেস লেখা হলো এবং পুলিশ কেন আসাদুলকে গ্রেফতার করলো?

এব্যাপারে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাত বলেন, বিয়ের কাবিন দেখানোতে পুলিশ হেফাজত থেকে আসাদুলকে ছেড়ে দেয়া হয়। গৃহবধূ নিজেই স্বামী হিসেবে আসাদুলকে স্বীকার করে।

পাঠকের মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।