কুষ্টিয়ার কুখ্যাত জলিলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় স্ত্রীর যৌতুক ও দেনমোহরের মামলা : তৃতীয় বিয়ের পীড়িতে কথিত ফকির
এনামুল হক রাসেল এনামুল হক রাসেল
সম্পাদক, দ্য বিডি রিপোর্ট ২৪ ডটকম


কুষ্টিয়া সংবাদদাতা: কুষ্টিয়ার জুগিয়ার জলিল ফকিরের বিরুদ্ধে এবার দ্বিতীয় স্ত্রী দেনমোহর ও যৌতুক আইনে মামলা দায়ের করেছে। তবে জলিল ফকির দ্বিতীয় স্ত্রীকে অস্বীকার করেছেন।
সমাজসেবা কর্মকর্তাকে তিনি জানিয়েছেন, তিনি বাউল ধর্মে বিশ্বাসী, তিনি বিয়ে করেন নাই, বাউল মতালম্বী হয়ে ১৫ বছর ওই মেয়ের সাথে সংসার করেছেন। মেয়েটি ছিলো তার সেবাদাসী।
সমাজসেবা কর্মকর্তা আবু রায়হান জানান, আমি আদালতকে বিষয়গুলো জানিয়েছি এবং মামলা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেছি। আমার জানা নেই, এমন কোন ধর্ম আছে কি না? যেখানে বিয়ে না করে সংসার করা যায়! এই বলে তিনি বিষ্ময় প্রকাশ করেন। জানা যায়, প্রথম স্ত্রী বর্তমান থাকা অবস্থায় কুষ্টিয়ার জুগিয়ার আব্দুল জলিল ২০০৩ সালের জানুয়ারি মাসের ৪ তারিখে তারই এক ভক্ত ভাইয়ের মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে ১ লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করে। এরপর ওই মেয়েকে নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ভাড়া করে বসবাস করতে থাকেন। সর্বশেষ কুষ্টিয়ার রাজারহাট মোড়ের বাবলুর বাড়িতে জলিল ফকির তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করে। তার ২য় স্ত্রী জ অদাক্ষের ওই মহিলা জানান, গত ১৫ বছর যাবৎ জলিল ফকির তার সাথে সংসার করছে, স¤প্রতি ভারত বাংলাদেশ লালন পরিষদ বানানোর পর জলিল ফকিরের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
ঐ পরিষদের সদস্য ‘ন’-অদ্যাক্ষের এক মেয়েকে জলিল ফকির বিয়ে করেছে বলে আমার কানে খবর আসে। আমি জলিল ফকিরের কাছে জানতে চাইলে সে আমার সাথে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে। আমি এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার আদালতে যৌতুক ও দেনমোহর আইনে একটি মামলা দায়ের করি। গত ১৫ই জানুয়ারি মামলাটি আদালতে দাখিল করলে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্যে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে দায়িত্ব দেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই মহিলার কাছে কাবিন নেই, তবে গত ১৫ বছর ধরে জলিল ফকির বিভিন্ন জায়গায় ওই মহিলাকে নিয়ে বসবাস করে আসছে। তার সত্যতা পাওয়া গেছে। জলিল ফকির আত্মপক্ষের সমর্থনে বাউল ধর্ম মতে, লিভিং টুগেদার বলে বিষয়টি আমার সামনে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। যা আমার কাছে হাস্যকর মনে হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জলিল ফকির ছেউরিয়া এলাকায় ভারত বাংলাদেশ লালন পরিষদ নামের একটি সংগঠনের অফিস করেন। সেখানে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সুন্দর রমনীরা আসতেন।
জলিল ফকিরের দ্বিতীয় স্ত্রী জানান, ভারত বাংলাদেশ লালন পরিষদ করার পরে জলিল ফকির একদম নষ্ট হয়ে যায়। সেখানে একাধিক মেয়ের সাথে তার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের মধ্যে একজনকে আবার নতুন করে বিয়ে করেছেন জলিল ফকির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার দ্বিতীয় স্ত্রী। ওই মেয়ের সাথে জলিল ফকিরের একাধিক ছবিও রয়েছে।
এ ব্যাপারে জলিল ফকিরের সাথে কথা বললে তিনি জানান, সাংবাদিকরা যদি আমার নামে নিউজ করে সেটি তাদের নীতি বিরোধী হবে।