কুমারখালী এলাকার শীর্ষ চরমপন্থী নেতা ডজন হত্যা মামলার আসামী মহব্বত রয়েছে বহাল তবিয়্যতে
এনামুল হক রাসেল এনামুল হক রাসেল
সম্পাদক, দ্য বিডি রিপোর্ট ২৪ ডটকম


নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়ার কুমারখালী এলাকার শীর্ষ চরমপন্থী নেতা মহব্বতের বিরুদ্ধে ডজনের বেশী হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ থাকার পরও বহাল তবিয়্যতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জেলা জুড়ে। গণবাহিনীর ক্যাডার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা মহব্বত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নেতার ছত্রছায়ায় থেকে এই সকল হত্যাকান্ড সংঘটিত করেছে। তারপরেও কিছুই হয়নি মহব্বতের। সর্বশেষ খুন করে ঢাকা ৫৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলামকে। শৈলকুপার শ্বশুড় বাড়িতে বেড়াতে আসে রফিকুল ইসলাম মজুমদার। স্ত্রী ও শ্বাশুড়ি ভাড়া করে খুনী মহব্বতকে। মহব্বত একটি মাইক্রোতে করে র্যাব পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে আসে রফিকুল ইসলামকে। এনে আদাবাড়িয়া মাঠের মধ্যে মাথায় গুলি করে হত্যা করে। এলাকাবাসী বলছে ১৯৯৭ সালে মহব্বতের উত্থান হয়। ৯৭ সালের ৫ জানুয়ারী নিজ গ্রামের মহম্মদ আলী ও পান্টি মূল গ্রামের ছকম উদ্দিন কে কুপিয়ে হত্যা করে মহব্বত। এব্যাপারে সেমময় পুলিশ বাদী হয়ে মহব্বত সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ মামলায় মহব্বত বেশ কয়েকমাস হাজত খাটে। বের হয়ে এসে হয়ে উঠে মূর্ত্তিমান আতঙ্ক। একের পর এক পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা শুরু করে। কুমারখালীর চৌরঙ্গী বাজারের কৃষক নেতা ছাত্তার ফকির কে গুলি করে হত্যা করে, কুমারখালীর চাঁদপুর ইউনিয়নের বড়ইচড়া গ্রামের সলেকে গুলি করে হত্যা করে। দুর্বাচার গ্রামের ঠিকাদার লজেন্সকে গুলি করে হত্যা করে, কুমারখালীর নাতুরিয়া গ্রামের আতিককে গুলি করে হত্যা করে, লাহিনী বটতলায় কুমারখালীর চপড়া ইউনিয়নের সানপুকুরিয়া গ্রামের দীনুকে গুলি করে হত্যা করে। এসকল হত্যাকান্ডের আসামী মহব্বত। এছাড়া আরো প্রায় অর্ধডজন হত্যাকান্ডের অভিযোগ রয়েছে চরমপন্থী মহব্বতের বিরুদ্ধে। ২০০১ সালে বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুন্সী রশিদুর রহমানের সঙ্গে আঁতাত করে মহব্বত। রশিদুর রহমানের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে গোটা বিএনপি সরকারের সময় বুক ফুলিয়ে চলতে থাকে গোটা জেলা ব্যাপী। শুধু কুষ্টিয়ায় নয় ঝিনাইদহ, রাজবাড়ির পাংশ এলাকায় গড়ে তোলে সশস্ত্র চরমপন্থী সংগঠন। তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময় গা ঢাকা দেয় শীর্ষ চরমপন্থী মহব্বত। আওয়ামীলীগের নেতৃত্বধীন মহাজোট রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এলে এক শীর্ষ নেতার হাত পড়ে তার মাথায়। শরিক দলের ওই নেতা পৃষ্টপোষকতা করতে থাকে মহব্বতকে। রফিকুল ইসলাম মজুমদার হত্যাকান্ডের পর ওই নেতার আর্শিবাদে র্যাবের হাত থেকে রক্ষা পায়। এখন আবার নতুন করে বাশগ্রাম দুর্বাচারা পান্টি আদাবাড়ি এলাকায় চরমপন্থী সংগঠিত করার চেষ্টা করছে মহব্বত বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। বিষয়টি আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষন করেছে সাধারণ মানুষ।